বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
পরম করুনময় আল্লাহর নাম সরন করি
সগ্রহকারি মোঃ রোকন সরকার
পরিচ্ছদঃ ৬৩৫. বৃষ্টির জন্য দোয়া এবং দোয়ার উদ্দেশ্যে নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর বের হওয়া।
৯৫১। আবূ নু’আইম (রহঃ) ... আব্বাস ইবনু তামীম (রহঃ) তাঁর চাচা [আবদুল্লাহ ইবনু যায়িদ (রাঃ)] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৃষ্টির জন্য দোয়া করতে বের হলেন এবং তাঁর চাঁদর পাল্টালেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পরিচ্ছদঃ ৬৩৬. নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর দোয়া ইউসুফ (আঃ) এর যমানার দুর্ভিক্ষের বছরগুলোর মত (এদের উপরেও) কয়েক বছর দুর্ভিক্ষ দিন।
৯৫২। কুতাইবা ইবনু সায়ীদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন শেষ রাকাআত থেকে মাথা উঠালেন, তখন বললেন, হে আল্লাহ! আইয়্যাশ ইবনু আবূ রাবী’আহকে মুক্তি দিন। হে আল্লাহ! সালামা ইবনু হিশামকে মুক্তি দিন। হে আল্লাহ! ওয়ালীদ ইবনু ওয়ালীদকে রক্ষা করুণ। হে আল্লাহ! দুর্বল মু’মিনদেরকে মুক্তি দিন। হে আল্লাহ! মুযার গোত্রের উপর আপনার শাস্তি কঠোর করে দিন। হে আল্লাহ! ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর যমানার দুর্ভিক্ষের বছরগুলোর ন্যায় (এদের উপর) কয়েক বছর দুর্ভিক্ষ দিন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বললেন, গিফার গোত্র, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করুন। আর আসলাম গোত্র, আল্লাহ তাদেরকে নিরাপদে রাখুন। ইবনু আবূ যিনাদ (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে বলেন, এ সমস্ত দু’আ ফজরের সালাত (নামায/নামাজ)-এ ছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃপরিচ্ছদঃ ৬৩৬. নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর দোয়া ইউসুফ (আঃ) এর যমানার দুর্ভিক্ষের বছরগুলোর মত (এদের উপরেও) কয়েক বছর দুর্ভিক্ষ দিন।
৯৫৩। হুমাইদী ও উসমান ইবনু আবূ শাইবা (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন লোকদেরকে ইসলাম বিমুখ ভুমিকায় দেখলেন, তখন দু’আ করলেন, হে আল্লাহ! ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর যামানার সাত বছরের (দুর্ভিক্ষের) ন্যায় তাঁদের উপর সাতটি বছর দুর্ভিক্ষ দিন। ফলে তাঁদের উপর এমন দুর্ভিক্ষ আপতিত হল যে, তা সব কিছুই ধ্বংস করে দিল। এমনকি মানুষ তখন চামড়া, মৃতদেহ এবং পচা ও গলিত জানোয়ারও খেতে লাগলো। ক্ষুদার তাড়নায় অবস্থা এতদূর চরম আকার ধারণ করল যে, কেউ যখন আকাশের দিকে তাকাত তখন সে ধুঁয়া দেখতে পেত। এমতাবস্থায় আবূ সুফিয়ান (ইসলাম গ্রহনের পূর্বে) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, হে মুহাম্মদ! তুমি তো আল্লাহর আদেশ মেনে চল এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখার আদেশ দান কর। কিন্তু তোমার কওমের লোকেরা তো মরে যাচ্ছে। তুমি তাঁদের জন্য আল্লাহর নিকট দু’আ কর। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’লা বলেছেনঃ
فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ إِلَى قَوْلِهِ عَائِدُونَ * يَوْمَ نَبْطِشُ الْبَطْشَةَ الْكُبْرَى
আপনি সে দিনটির অপেক্ষায় থাকুন যখন আকাশ সুস্পষ্ট ধুঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যাবে সেদিন আমি প্রবলভাবে তোমাদের পাকড়াও করব”। (৪৪ঃ ১০-১৬)
আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, সে কঠিন আঘাত এর দিন ছিল বদরের যুদ্ধের দিন। ধুঁয়াও দেখা গেছে, আঘাতও এসেছে। আর মক্কার মুশরিকদের নিহত ও গ্রেফতারের যে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, তাও সত্য হয়েছে। সত্য হয়েছে সুরা রুম-এর এ আয়াতও (রুমবাসী দশ বছরের মধ্যে পারসিকদের উপর আবার বিজয় লাভ করবে)।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পরিচ্ছদঃ ৬৩৭. অনাবৃষ্টির সময় লোকদের ইমামের নিকট বৃষ্টির জন্য দু’আর আবেদন।
৯৫৪। আমর ইবনু আলী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু দ্বীনার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনু উমর (রাঃ) কে আবূ তালিবের কবিতা টি পাঠ করতে শুনেছি,
وَأَبْيَضَ يُسْتَسْقَى الْغَمَامُ بِوَجْهِهِ * ثِمَالُ الْيَتَامَى عِصْمَةٌ لِلأَرَامِلِ
উমর ইবনু হামযা (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বৃষ্টির জন্য দু’আ রত অবস্থায় আমি তাঁর পবিত্র চেহারার দিকে তাকালাম এবং এ কবিতাটি আমার মনে পড়লো। আর তাঁর (মিম্বার থেকে) নামতে না নামতেই প্রবল বেগে মীযাব [২] থেকে পানি প্রবাহিত হতে দেখলাম। আর এ হলও আবূ তালিবের কবিতা।
১. মীযাব – ছাদ থেকে পানি নামার নালী।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পরিচ্ছদঃ ৬৩৭. অনাবৃষ্টির সময় লোকদের ইমামের নিকট বৃষ্টির জন্য দু’আর আবেদন।
৯৫৫। হাসান ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) অনাবৃষ্টির সময় আব্বাস ইবনু আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) এর উসিলা দিয়ে বৃষ্টির জন্য দু’আ করতেন এবং বলতেন, হে আল্লাহ! (প্রথমে) আমরা আমাদের নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উসিলা দিয়ে দোয়া করতাম এবং আপনি বৃষ্টি দান করতেন। এখন আমরা আমাদের নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চাচার উসিলা দিয়ে দু’আ করছি, আপনি আমাদেরকে বৃষ্টি দান করুন। বর্ণনাকারী বলেন, দু’আর সাথে সাথেই বৃষ্টি বর্ষিত হতো।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পরিচ্ছদঃ ৬৩৮. ইসতিসকায় চাদর উল্টানো।
৯৫৬। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু যায়িদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৃষ্টির জন্য দু’আ করেন এবং নিজের চাঁদর উল্টিয়ে দেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পরিচ্ছদঃ ৬৩৮. ইসতিসকায় চাদর উল্টানো।
৯৫৭। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু যায়িদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহে গেলেন এবং বৃষ্টির জন্য দোয়া করলেন। তারপর কিবলামুখী হয়ে নিজের চাঁদরখানি উল্টিয়ে দিলেন এবং দু’রাকাআত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, ইবনু উয়াইনা (রহঃ) বলতেন, এ হাদীসের বর্ণনাকারী আবদুল্লাহ ইবনু যায়িদ (রাঃ) হলেন, আযানের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সাহাবী। কিন্তু তা ঠিক নয়। কারণ ইনি হলেন, সেই আবদুল্লাহ ইবনু যিয়াদ ইবনু আসিম মাযিনী, যিনি আনসারের মাযিন গোত্রের লোক।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পরিচ্ছদঃ ৬৪০. জামে মসজিদে বৃষ্টির জন্য দু’আ।
بَابُ انْتِقَامِ الرَّبِّ جَلَّ وَعَزَّ مِنْ خَلْقِهِ بِالْقَحْطِ إِذَا انْتُهِكَ مَحَارِمُ اللَّهِ
৬৩৯. অনুচ্ছেদঃ আল্লাহ্র মাখলুকের মধ্য থেকে কেউ তাঁর মর্যাদাপূর্ণ বিধানসমূহের সীমালঙ্ঘন করলে মহিমময় প্রতিপালক কর্তৃক দুর্ভিক্ষ দিয়ে শাস্তি প্রদান।
৯৫৮ মুহাম্মদ (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি জুমু'আর দিন মিম্বারের সোজাসুজি দরজা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন দাঁড়িয়ে খুৎবা দিচ্ছিলেন। সে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্মুখে দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! গবাদি পশু ধ্বংস হয়ে গেল এবং রাস্তাগুলোর চলাচল বন্ধ হয়ে গেল। সুতরাং আপনি আল্লাহর কাছে দু’আ করুন, যেন তিনি আমাদের বৃষ্টি দেন। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন উভয় হাত তুলে দু’আ করলেন, হে আল্লাহ! বৃষ্টি দিন, হে আল্লাহ! বৃষ্টি দিন, হে আল্লাহ! বৃষ্টি দিন, আনাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! আমরা তখন আকাশে মেঘমালা, মেঘের চিহ্ন বা কিছুই দেখতে পাইনি। অথচ সাল’আ পর্বত ও আমাদের মধ্যে কোন ঘর বাড়ী ছিল না। আনাস (রাঃ) বলেন, হঠাৎ সাল’আ পর্বতের পেছন থেকে ঢালের মত মেঘ বেরিয়ে এল এবং তা মধ্য আকাশে পৌঁছে বিস্তৃত হয়ে পড়ল। তারপর বর্ষণ শুরু হল। তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! আমরা ছয়দিন সুর্য দেখতে পাইনি।
তারপর একব্যাক্তি পরবর্তী জুমু'আর দিন সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন তখন দাঁড়িয়ে খুৎবা দিচ্ছিলেন। লোকটি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ধন-সম্পদ নষ্ট হয়ে গেল এবং রাস্তাঘাটও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। কাজেই আপনি আল্লাহর নিকট বৃষ্টি বন্ধের জন্য দু’আ করুন। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উভয় হাত তুলে দু’আ করলেন, হে আল্লাহ! আমাদের আশে পাশে, আমাদের উপর নয়, টিলা, পাহাড়, উচ্চভূমি, মালভূমি, উপত্যকা এবং বনাঞ্চলে বর্ষণ করুন। আনাস (রাঃ) বলেন, এতে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেল এবং আমরা (মসজিদ থেকে বেরিয়ে) রোদে চলতে লাগলাম।
শরীক (রহঃ) (বর্ণনাকারী) বলেন, আমি আনাস (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, এ লোকটি কি আগের সে লোক? তিনি বললেন, আমি জানিনা।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পরিচ্ছদঃ ৬৪১. কিবলার দিকে মুখ না করে জুমু’আর খুতবায় বৃষ্টির জন্য দু’আ করা।
৯৫৯। কুতাইবা ইবনু সায়ীদ (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একব্যাক্তি জুমু'আর দিন দারুল কাযা (বিচার কাজ সমাধার স্থান) এর দিকের দরজা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করল। এ সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে খুৎবা দিচ্ছিলেন। লোকটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ধন-সম্পদ নষ্ট হয়ে গেল এবং রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেল। আপনি আল্লাহর নিকট দু’আ করুন যেন তিনি আমাদের বৃষ্টি দান করেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’হাত তুলে দু’আ করলেন, হে আল্লাহ আমাদের বৃষ্টি দান করুন। হে আল্লাহ আমাদের বৃষ্টি দান করুন। হে আল্লাহ আমাদের বৃষ্টি দান করুন।
আনাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! আমরা তখন আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, মেঘ নেই। মেঘের সামান্য টুকরোও নেই। অথচ সাল’আ পর্বত ও আমাদের মধ্যে কোন ঘরবাড়ি ছিল না। তিনি বলেন, হঠাৎ সাল’আর ওপাশ থেকে ঢালের মত মেঘ উঠে এল এবং মধ্য আকাশে এসে ছড়িয়ে পড়লো। এরপর প্রচুর বর্ষণ হতে লাগল। আল্লাহর কসম! আমরা ছয়দিন সুর্য দেখতে পাইনি।
এর পরের জুমুআয় সে দরজা দিয়ে এক ব্যাক্তি প্রবেশ করল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন দাঁড়িয়ে খুৎবা দিচ্ছিলেন। লোকটি তাঁর সম্মুখে দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ধন সম্পদ ধ্বংস হয়ে গেল এবং রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। কাজেই আপনি বৃষ্টি বন্ধের জন্য আল্লাহর কাছে দু’আ করুন। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন দু’হাত তুলে দু’আ করলেন, হে আল্লাহ! আমাদের আশে পাশে, আমাদের উপর নয়। হে আল্লাহ! টিলা, মালভূমি, উপত্যকার অভ্যন্তরে এবং বনাঞ্চলে বর্ষণ করুন। আনাস (রাঃ) বলেন, তখন বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেল এবং আমরা বেরিয়ে রোদে চলতে লাগলাম।
রাবী শরীক (রহঃ) বলেন, আমি আনাস (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, এ লোকটি কি আগের সেই লোক? তিনি বলেন, আমি জানিনা।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পরিচ্ছদঃ ৬৪২. মিম্বারে দাঁড়িয়ে বৃষ্টির জন্য দোয়া।
৯৬০। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমু'আর দিন খুৎবা দিচ্ছিলেন। এসময় একজন লোক এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেছে। আপনি আল্লাহর নিকট দোয়া করুন। তিনি যেন আমাদেরকে বৃষ্টি দান করেন। তিনি তখন দু’আ করলেন। ফলে এত অধিক বৃষ্টি হল যে, আমাদের নিজ নিজ ঘরে পৌছাতে পারছিলাম না। এমনকি পরের জুমু'আ পর্যন্ত বৃষ্টি হতে থাকল। আনাস (রাঃ) বলেন, তখন সে লোকটি অথবা অন্য একটি লোক দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি দু’আ করুন। আল্লাহ যেন আমাদের উপর থেকে বৃষ্টি সরিয়ে দেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে আল্লাহ! আমাদের আশে পাশে, আমাদের উপর নয়। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি তখন দেখতে পেলাম, মেঘ ডানে ও বামে বিভক্ত হয়ে বৃষ্টি হতে লাগল, মদিনাবাসীর উপর বর্ষণ হচ্ছিল না।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
No comments:
Post a Comment